পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার বাউফলে পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন সরোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তি। হত্যাকাণ্ডের পর নিজের চার বছরের শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে খুনের দায় স্বীকার করেন তিনি। গতকাল শুক্রবার ভোরে বাউফল থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নিহত সালমা আক্তার (৩২) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর মেয়ে। তিনি বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর নেছারিয়া ডিগ্রি মাদরাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেন বাউফল উপজেলার নদমুলা গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, চাকরির সুবাদে স্বামী-স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান বাউফলের চন্দ্রপাড়া গ্রামে মো. জসিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক জীবনে দীর্ঘদিন ধরেই কলহ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সরোয়ার হোসেন ঘরের ভেতরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রীর ঘাড়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সালমার। হত্যাকাণ্ডের পর ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে সরোয়ার শিশু সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে গতকাল শুক্রবার ভোরে বিবেকের তাড়নায় বাউফল থানায় গিয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সালমার লাশ উদ্ধার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা জব্দ করে। বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া সরোয়ার হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং শিশুটি বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
